ফেঞ্চুগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী ফেঞ্চুগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী – ফেঞ্চুগঞ্জ নিউজ
  1. admin@fenchuganjnews.com : admin :
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| রাত ১২:৪৩|
সর্বশেষ :
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত, সংসদ-রাষ্ট্রপতির মেয়াদ নিয়ে দ্বিমত জামায়াতের ফেঞ্চুগঞ্জে বজ্রপাতে নৌকার মাঝির মৃত্যু সিলেট-আখাউড়া রেলপথ : পুরনো ইঞ্জিন ও বগিতে চলছে ট্রেন, ঘটছে দু-র্ঘ-ট-না ফেঞ্চুগঞ্জ যুব সংঘের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন সাংবাদিক বাবুল ফেঞ্চুগঞ্জে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ইলিয়াস আলীর খোঁজ না পাওয়া জাতির জন্য চরম লজ্জার : কাইয়ুম চৌধুরী ফেঞ্চুগঞ্জে সাংবাদিকদের সম্মানে নৈশভোজ ফেঞ্চুগঞ্জে চলন্ত অবস্থায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১ বগি বিচ্ছিন্ন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবি সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে বাসচাপায় প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহীর

ফেঞ্চুগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪

রুমেল আহসান:: ফেঞ্চুগঞ্জে চারদিকে কেবল পানি আর পানি। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানি সবখানেই। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর অথবা বুকসমান পানি। গত ঈদুল আযহার দিন (সোমবার) থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় এমন অবস্থা চলছে। আজ শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলায় বন্যার পানি কম ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বাড়তে দেখা যায়।
উপজেলার কোথাও বন্যার পানি হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান উঠতে দেখা গেছে। এতে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় লোকজন। পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজারে অবস্থিত প্রায় ৭০০টি দোকানের মধ্যে অন্তত ৪০০টি দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। যেসব দোকানে একটু কম পানি ঢুকেছে, কেবল সেখানেই কিছুটা বেচাকেনা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার কারণে উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় বসবাস করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে উপজেলায় ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের নাথ কলোনী বাসিন্দা সাধন দেবনাথ বলেন, আমার বাসায় হাঁটুসমান পানি। এ কারণে ঘরে কিছু ইট ফেলে, তার ওপর কয়েকটি চৌকি বিছিয়ে কোনো রকমে মাচা বেঁধে বসবাস করছি। তবে ঘরে দুটি শিশু থাকায় তাঁর চিন্তা বেশি হচ্ছে। কখন জানি তারা পানিতে পড়ে যায়, এ নিয়ে তাঁর দুর্ভাবনা হচ্ছে। এ ছাড়া রান্নাবান্না করতেও তাঁদের সমস্যা হচ্ছে।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম বারী বলেন, ভারতের আসামের বরাক উপত্যকায় সম্প্রতি ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই কুশিয়ারার পানি এখন উপচে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টি না কমলে বন্যা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো উপায় নেই। ২২ জুন থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। তখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসফাকুল ইসলাম সাব্বির বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি, যার মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় রান্না করা খাবার আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের ত্রাণ সহায়তা আমরা বিতরণ করছি। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তিনি (সংসদ সদস্য) বন্যার্ত মানুষের পাশে ছুটে যাচ্ছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা নদীর পানি মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উপজেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তবে বন্যার্ত মানুষের প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাই দুর্ভোগ তো কিছুটা হবেই।
তিনি আরও বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জে ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়ে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর