ফেঞ্চুগঞ্জে ভূমি অফিসের ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অসদাচরণের অভিযোগ ফেঞ্চুগঞ্জে ভূমি অফিসের ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অসদাচরণের অভিযোগ – ফেঞ্চুগঞ্জ নিউজ
  1. admin@fenchuganjnews.com : admin :
  2. rumelahsan80@gmail.com : Rumel Ahsan : Rumel Ahsan
১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| বৃহস্পতিবার| দুপুর ১:০৯|
সর্বশেষ :

ফেঞ্চুগঞ্জে ভূমি অফিসের ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অসদাচরণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ঝাড়ুদার নাঈম আহমদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ লেনদেন ও অসদাচরণের বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী ভূমি অফিসের ঝাড়দারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর একটি নামজারির রিপোর্ট করার জন্য ভূমি অফিসে যান উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ফখরুল ইসলাম। ঝাড়–দার নাঈম নামজারির রিপোর্ট করিয়ে দিবেন বলে ফখরুলের কাছে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে নাঈমকে ঘুষ দেন ফখরুল। ঝাড়ুদার নাঈম জায়গার খতিয়ানে আপত্তি আছে এমনটা বলে আবারো ফখরুলের কাছ থেকে টাকা নেন। গত ২৩ অক্টোবর ফখরুল মুঠোফোনে কল দিলে নামজারি বাতিল হয়েছে বলে ঝাড়–দার নাঈম জানান তাকে।

ফখরুল ইসলাম বলেন, নাঈম ঘুষ নেওয়ার পরও আমার কাজ কেন হয়নি জানতে চাইলে সে আমার সাথে অসদাচরণ করে।

একই অভিযোগ সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তির। ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, গত তিন মাস আগে জমির খাজনার হিসাব জানতে আমি ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ভূমি অফিসে যায়। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সময় অফিসের ঝাড়–দার নাঈমকে খাওয়ার জন্য এক গøাস পানি চাইলে সে আমাকে তুই তোকারি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ‘আমি তোর চাকির করি না, পানি দিতে পারব না, তুই নিজে পানি এনে খা’ বলে লোকজনের সামনে আমাকে ধমক দিয়ে বলে। মানইজ্জতের ভয়ে আমি তার সাথে কোনো কথা না বলে অফিস থেকে বের হয়ে আসি। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত নাঈম আহমদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সব মিথ্যা।
ফেঞ্চুগঞ্জ সদর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাজমিন আক্তার বলেন, আমি কয়েকদিন আগে এই ভূমি অফিসে যোগদান করেছি। গত দু’দিন আগে ফখরুল ইসলাম আমাকে বিষয়টি বললে ঝাড়ুদার নাঈমকে আমি বিষয়টি জিজ্ঞেস করি। নামজারির রিপোর্ট করার কথা বলে ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নাঈম নিয়েছিল, সে টাকা ফখরুল ইসলামকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর নাঈমকে আমি অফিস থেকে বের করে দিয়েছি। সে ভূমি অফিসে মাস্টার রোলে কাজ করে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেরিনা দেবনাথ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর