রুমেল আহসান:: ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিপদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর পানি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সদর, মাইজগাঁও, ঘিলাছড়া, উত্তর কুশিয়ারা ও উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক নিচু অঞ্চলে পানি উপচে পড়ছে। বাড়ছে জলাবদ্ধতা, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি ও বসতবাড়ি। পানি বাড়তে শুরু করে উপজেলার কুশিয়ারা, জুড়ী, রত্না নদীসহ হাকালুকি হাওর ও খালবিলে। বিশেষ করে কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবাহ অনেক বেড়ে গেছে। এতে আশপাশের নিচু এলাকা দ্রুত প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বইছে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৩৪ মিটার বেশি।
পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানি এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে উজানের ঢলের প্রভাব বেশি পড়ছে সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলোতে।
সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ( ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর) মো. গোলাম বারী বলেন, দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। তখন পানি কিছুটা কমবে।
এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রত্যন্ত ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।