নৌকা মার্কাকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম নৌকা মার্কাকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম – ফেঞ্চুগঞ্জ নিউজ
  1. admin@fenchuganjnews.com : admin :
  2. rumelahsan80@gmail.com : Rumel Ahsan : Rumel Ahsan
১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| বৃহস্পতিবার| দুপুর ১:০৫|
সর্বশেষ :

নৌকা মার্কাকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫

 

নৌকা মার্কাকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।শুক্রবার (২ মে) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি।

এসময় নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনৈতি দল নয়। এটি একটি ফ্যাসিস্ট দলে পরিণতি হয়েছে। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের সাথে জড়িতদের নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচনা করতে ইচ্ছুক না। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও এই চিন্তা করে কীভাবে।এই সরকার বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে জনতার আদালতে আমরা আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে নাহিদ ইসলাম।

যারা শেখ হাসিনা খুন করছে কি না জিজ্ঞেস করেছে সেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা সাংবাদিক নন, আপনারা ফ্যাসিস্টের দোসর।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে দ্রুত, তারা বিভিন্ন দলে যোগ দিচ্ছে, তৃণমূলে আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসিত হচ্ছে।

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ‘আমার সোনার বাংলা’ স্বপ্ন মুজিববাদী সংবিধানে ব্যর্থ হয়েছে। এই মুজিববাদী সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ হতে দেয় নি, সমাজতন্ত্রের নামে পুঁজির বিকাশে ব্যাঘাত করেছে, গণতন্ত্র নামে বাকশাল কায়েম করেছে।৯০ এর গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষ নেমেছে। এরপর সেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরপর ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নেমেছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকে নয়। তারা নেমেছে ছাত্র-জনতার ডাকে। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা।জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যান্য সময়কালের অন্তর্বর্তী সরকারের মতো সুশীল কোনো সরকার না। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা এই সরকার গঠন করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে এই সরকারও গড়িমসি করছে। আ. লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, এই আহত ও শহীদদের রক্তের ওপর আমরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরা কোনো দাবি, অনুরোধ করছি না। আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’সারজিস আলম বলেন, আজ থেকে নয় মাস আগে শহীদ মিনারে আমরা ছাত্র-জনতা রায় দিয়েছিলাম। এবার বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেট থেকে আবারও সেই রায় দিবো। আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না, মুজিববাদী রাজনীতি এই বাংলায় হবে না। এদেশে কোনোদিন আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে নাতিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, একটি দল নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করতেছে একটি দল। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গত ১৫ বছর যখন আমার মায়েরা জেলে গেটে ঘুরেছে, আমার ভাইয়েরা দিনের পর দিন গুম-খুনের ভয় নিয়ে বিচরণ করেছে আপনারা তখন নেগোসিয়েশন করেছেন। আপনাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। আপনারা ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে এসে এদেশের মানুষদের মুক্তি দিয়েছে।এনসিপির কেন্দ্রী নেতা শামান্তা শারমিন বলেন, মৌলিক সংস্কার না করে মাঠ ছাড়বো না। তার আগে কোনো নির্বাচনও হতে দিবো না।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষদের কখনো শান্তিতে থাকতে দেয় নি। তারা জাাসদের নেতাদের হত্যা করেছে, তারা শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়েছে, তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, রাতের আধারে নির্বাচন করেছে। গুম করে হত্যা করে নির্যাতন করে ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা।প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করবে কি না সেই সিদ্ধান্ত আপনিও না, কোনো রাজনৈতিক দলও নিবে না। এই সিদ্ধান্ত নিবে শহীদ পরিবাররা। তারা চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না, গত ৫ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে৷ এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে৷

সমাবেশে আন্দোলনে নিহত খালিদ সাইফুল্লার পিতা ডা. কামরুল বলেন, আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। একজন মানুষকে মারতে কতগুলো গুলির প্রয়োজন হয়? আমি বলতে চাই খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর