২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি মিশন শুরু বাংলাদেশের। ১৬ বছরের লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এই ফরম্যাটে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পায়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পুরো দল ব্যর্থ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই ফরম্যাটের পারফরম্যান্স তো আরও ভয়াবহ। এই অবস্থায় এশিয়া কাপে দলের প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশাও কম। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এমনটা মনে করেন।
গত বিশ্বকাপের পর ১০টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ জিতেছে। সব মিলে এবার এশিয়া কাপে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা কঠিন। এশিয়ার কাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সাকিব বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষ এখন আমাদের থেকে বেশি আশা করে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যেহেতু আমাদের রেকর্ডটাই এমন। গত ১৬-১৭ বছর ধরে খুব ভালো কিছু করতে পারিনি। এখানে-সেখানে কিছু করেছি, কিন্তু ধারাবাহিকভাবে পারিনি।’
এশিয়া কাপ নিয়ে প্রত্যাশা বেশি না থাকলেও সাকিবের মূল ভাবনা অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে, ‘আমাদের কাছে দুই-আড়াই মাস সময় আছে। এখন ফোকাসের বিষয় হলো এ সময়ের মধ্যে কতটুকু উন্নতি করতে পারি। হ্যাঁ, কিছু বিষয় আমাদের পক্ষে থাকবে না, ইনজুরির সমস্যাও আছে। এটা সবসময়ই হবে। এই প্রতিকূলতার মাঝেও কীভাবে উন্নতি করতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
অবশ্য এই উন্নতির ক্ষেত্রে সাকিব নিজেদের রসদ নিয়েই প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে চান। বাড়তি কিছু ভেবে চাপ নিতে চান না, ‘এখন আমার কাছে তেল নেই, তেল দিয়ে কী করতে পারি সেটা চিন্তা করে লাভ নেই। আমার কাছে গ্যাস আছে, গ্যাস দিয়ে কী কী করতে সেটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
সাকিব আরও বলেছেন, ‘আমরা যদি আমাদের রিসোর্সগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, আমার কাছে মনে হয় যে আমরা ওরকম একটা দল হিসেবে পরিণত হবো। যেখানে নিয়মিত ভালোভাবে ম্যাচ খেলতে পারবো, জেতা শুরু করবো। যদি হেরেও যাই, শেষ পর্যন্ত খেলে হেরে গেলাম। যেটায় মানুষ বুঝবে যে আমাদের মধ্যে একটা উন্নতি হচ্ছে।’