ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের সভায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজে ২০১৭-১৮ সেশনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ‘নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সভার সামনে থাকা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা৷ এতে গুরুতর আহত হন কলেজ ছাত্রদল নেতা ফারাবি আহমদ।
কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, সভা চলাকালীন সভা বন্ধ করতে নিষেধ করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান সাদিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ টিটু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জুবেদ সনি, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ শাহ। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিষেধ না মানলে ব্যানার টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন ছাত্রলীগ নেতারা৷ সভার সম্মুখে থাকা ছাত্রদল নেতা ফারাবি আহমদকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মারধর করেন ফারহান, সনি, টিটু ও রাসেল। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফারাবিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
কলেজ শিক্ষার্থী মাহমুদ জুয়েল ও ওবায়দুর রহমান সজল বলেন, আমাদের সভা শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে ফারাবি আহমদ। পরে তাকে উদ্ধার করে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আমরা কলেজ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। বহিরাগত সন্ত্রাসী, ছাত্রলীগ ক্যাডাররা কিভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন, এ যথাযথ বিচার চাই আমরা।
হামলায় আহত ফারাবি আহমদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা করছিলাম। নবাগত শিক্ষার্থীদের ছাত্রদলের যোগদানে আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু সভা চলাকালীন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করে।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলার ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক পৌঁছে কলেজ ক্যাম্পাসের উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।