বন্যার পানিতে সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইলাশপুর এলাকায় সড়কে ভাঙন ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যার পানি একটু একটু করে কমতে থাকায় পুকুর ও বিলের পানি নামার কারণে সড়কের উপর দিয়ে স্রোত বয়ে যাচ্ছে। সেই স্রোতে সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তায় মাটি ভরাট করে তা সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৪নং উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু।
রোববার (৩ জুলাই) সকালে নিজ উদ্যোগে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে তিনি সড়কের ভাঙন রোধে বস্তা ভর্তি মাটি ফেলেন। সড়কের বড় বড় গর্তে বস্তা ভর্তি বালু ফেলে সড়কে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেন।
জানা গেছে, বন্যায় ইলাশপুর বিলের পাড় সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের এই অংশ বিধ্বস্ত হয়। সড়কের এই অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস,ট্রাকসহ ছোট-বড় হাজার হাজার যানবাহন। সড়কের গর্তে পড়ে কখনো কখনো গাড়ি উল্টে যায়। ঝুঁকি এড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু।
সিএনজি চালক জমির উদ্দিন বলেন, সড়কের একপাশে ভাঙন ও গর্ত থাকায় সেদিকে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। পানির মধ্যেও সড়কের একপাশ দিয়ে সকল গাড়ি চলাচল করছে। এতে অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। আজ সকালে ইউপি চেয়ারম্যান বস্তা ভর্তি মাটি, বালু ও কংক্রিট দিয়ে গর্ত ভরাট করায় ও ভাঙন অংশে বস্তা দেওয়ার কারণে গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মুখে সড়কটি। বন্যার পানিতে সড়কটি যখন তলিয়ে যায়, তখন দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের দুপাশে আমি বাঁশ দিয়ে লাল কাপড় বেঁধে রেখেছিলাম। যাতে গাড়ি চালকরা সহজে বুঝতে পারেন সড়কের এই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যায় সড়কের এই অংশে ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়। পানি একটু কমতে শুরু করায় এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু গর্ত ও ভাঙনের কারণে সড়কের একপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় যানজট লেগে থাকে। সেজন্য সড়কে যানবাহন চলাচল উপযোগী করে তোলার জন্য আমি ও আমার স্থানীয় যুবকদের নিয়ে আমার নিজ উদ্যোগে বস্তা ভর্তি মাটি ও বালু ফেলেছি।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জিলু আরও বলেন, সড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের ভাঙন অংশ মেরামত করতে হবে। না হলে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। এজন্য সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।