রুমেল আহসান: রাত-দিন কাটছে তার বন্যা দুর্গত এলাকায়। কখনো নৌকায়, কখনো কোমর পানি মাড়িয়ে মিশে যাচ্ছেন বন্যার্তদের কাতারে। হাসাপাতাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্র- সবখানে তার কাঙ্খিত পদচারণা।
বন্যার্ত মানুষকে খাওয়াচ্ছেন রান্না করা খাবার। কেউ যেনো অভুক্ত না থাকে সে নজরদারিতেও কমতি নেই সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের।
কখনো ফেঞ্চুগঞ্জ, কখনো বালাগঞ্জ, কখনোবা দক্ষিণ সুরমার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিলছে তার দেখা। নিজে ও আত্মীয়-পরিজন, দলীয় নেতাকর্মীদের রান্না করা খাবার নিয়ে তুলে দিচ্ছেন আশ্রিতদের মুখে।
বন্যার পানিতে ঘেরা হাসপাতালে পানি মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে পৌছে চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে কিনা- চিকিৎসকদের পাশে বসেই বুঝে নিচ্ছেন তিনি।
ইতোমধ্যে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করায় রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
তার সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটছে নেতাকর্মী’র। এভাবে পরম মমতায় মানুষের পাশে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ভোররাত থেকে ছুটে যাচ্ছেন এই সংসদ সদস্য।
যেখানে সপ্তাহে তিনদিন (শুক্র, শনি, রবিবার) তার সংস্পর্শ পেতেন এলাকার মানুষ, সেখানে সপ্তাহে সাতদিনই বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে রয়েছেন। ভালোবাসার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে নিতে তার এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
নেতা-কর্মীদের নিয়ে কোনো তালিকা ছাড়াই নিজে ডোর টু ডোর নৌকা নিয়ে গিয়ে মানুষের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন সংসদ সদস্য হাবিব। সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করছেন।